মাগুরা প্রতিদিন ডটকম : মাগুরার বহুল আলোচিত মাতৃগর্ভে গুলিবিদ্ধ হয়ে জন্ম নেয়া শিশু সুরাইয়াকে সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার তিন ধরনের থেরাপির মাধ্যমে সেখানে তার চিকিৎসা শুরু করা হয়েছে।
সিআরপির শিশু বিভাগের ক্লিনিক্যাল ফিজিওথেরাপিস্ট মো. নাজমুল হাসান তার চিকিৎ]সার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবার বেলা ১১টার দিকে শিশু সুরাইয়াকে সিআরপিতে ভর্তি করা হয়।
সিআরপির তথ্য মতে, সুরাইয়াকে একটি প্যাকেজের আওতায় দুই সপ্তাহ বা ১৪ দিন এই চিকিৎসাসেবা দেয়া হবে। এর মধ্যে রয়েছে ফিজিওথেরাপি, অকুপেশনাল থেরাপি ও স্পিচ ল্যাংগুয়েজ থেরাপি।
সিআরপির শিশু বিভাগের ক্লিনিক্যাল ফিজিওথেরাপিস্ট নাজমুল হাসান বলেন, ‘সুরাইয়াকে সিআরপিতে ভর্তি করা হয়েছে। দুই সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে তাকে সিআরপি বিভাগ থেকে ছাড়পত্র দেয়া হবে। এ সময় তার পরিবারকে ফিজিওথেরাপি দেয়ার পদ্ধতি ও এর খুঁটিনাটি শিখিয়ে দেয়া হবে, যাতে বাড়িতে তারাই এই থেরাপি দিতে পারেন। এ জন্য প্রয়োজনীয় ডিভাইসও সরবরাহ করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে প্রতি মাসে একবার হলেও ফলোআপ করতে হবে। অর্থাৎ মাগুরার কাছাকাছি পাবনায় সিআরপির সাব-সেন্টার অথবা সাভারে ফলোআপ দেখাতে পারবেন। জন্মের পর থেকে সুরাইয়ার নানান শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। সে এখন দাঁড়াতে পারে না। ডান পা ও ডান চোখে সমস্যা একটু বেশি। তবে মাগুরার প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশন সেবাকেন্দ্রে ফিজিওথেরাপি নিলেও তার চিকিৎসা প্রয়োজন।’
এ ব্যাপারে সুরাইয়ার মা নাজমা বেগম বলেন, ‘জন্মের কিছুদিন পর থেকেই সুরাইয়ার বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা ছিল। বর্তমানে তার শারীরিক বিকাশে কিছু অসম্পূর্ণতা দেখা দেয়ায় স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে সিআরপিতে ভর্তি করিয়েছি।’
২০১৫ সালের ২৩ জুলাই মাগুরা শহরের দোয়ারপাড়ে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় ৮ মাসের অন্তসত্ত্বা সুরাইয়ার মা নাজমা বেগম গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনার পরদিন মাগুরা সদর হাসপাতালের ডাক্তার সফিউর রহমানের অস্ত্রপচারের মাধ্যমে মাতৃগর্ভে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শিশুটি ভূমিষ্ট হয়।